প্রতি বছর ২১শে ফেব্র“য়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসাবে পালন করতে একটি আইন করেছে কানাডার পার্লামেন্ট। বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বে কানাডাই প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিলো। বিলটি পাস হওয়ার ফলে এখন থেকে প্রতিবছর দেশটিতে সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে।

বৃহস্পতিবার কানাডার হাউজ অব কমন্সে ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্ট’ পাস করা হয়। অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই শুভক্ষণে ১৯৯৯ সালে ২১শে ফেব্র“য়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ইউনেস্কোর এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘের স্বীকৃত আদায়ে মরহুম রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম, এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’

বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন হাউজ অব কমন্সের সদস্য কেন হার্ডি। এ সময় বিলের সমর্থনকারী সিনেটর মবিনা এস জাফর এবং কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার খলিলুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

হাইকমিশন বলছে, বিলটি পাস হওয়া ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের প্রতি কানাডার অঙ্গীকারের প্রমাণ। এই বিলটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে ভাষা হলো মানুষের পরিচিতি ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অপরিহার্য উপাদান। ভাষার বৈচিত্র্যকে সম্মান করা, রক্ষা করা, বর্ধন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

বাঙালিই পৃথিবীর প্রথম জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্র“য়ারি বুকের রক্ত ঢেলে তারা ছিনিয়ে আনে মায়ের ভাষার অধিকার। এর দুই বছর পর ১৯৫৪ সালের ৭ই মে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকার করে প্রস্তাব গ্রহণ করে।

১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্র“ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১শে ফেব্র“য়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।